• Archive Calendar

    সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
    ১০১১১২১৩১৪
    ১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
    ২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
    ২৯৩০৩১  
  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    ধর্মপাশায় গৃহবধূ কে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার

      প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ , ৫:১৪:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘুলুয়া গ্রামের গৃহবধূ আঁখি মনি (২০)কে আত্মহত্যা করার প্রচোরণায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে গৃহবধূর
    বাবা আয়নাল হক (৬০) বাদী হয়ে স্বামীসহ তিন জনের
    নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করেছেন। বুধবার (২৪জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কংস নদ থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বিল্লাল হোসেন (২৭)কে ওইদিনই আটক করে পুলিশ। ধর্মপাশা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘুলুয়া গ্রামের সোয়াব মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল হকের মেয়ে আঁখি মনির ২০২২সালের ডিসেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বৈবাহিক জীবনে তাঁরা সুখী ছিল না। স্বামী বিল্লাল হোসেন,ভাশুড় খাইরুল ইসলাম (৩৮) ও স্বামীর বোন জামাই উজ্জ্বল মিয়া (৪০)সহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রায় সময়ই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আঁখি মনিকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। দাম্পত্যজীবনে ওই গৃহবধূ একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এর পর থেকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ওই গৃহবধূ এসব ঘটনা তাঁর বাবাকে মোবাইলে ফোন করে জানাতেন। গৃহবধূর বাবা তাঁর মেয়েকে সান্তনা দিয়ে সংসারের ছোট খাট ঘটনা মেনে নিয়ে সংসার করার জন্য পরামর্শ দিতেন। ওই গৃহবধূর বয়স কম থাকায় মানসিক নির্যাতনের কারণে সব সময় সে মন খারাপ করে থাকতো। গত ১৫জানুয়ারি স্বামী বিল্লাল হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুড় বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সময় শ্বশুড় তাঁর মেয়েকে নিয়ে মিলে মিশে সংসার করার জন্য জামাইকে বুঝিয়ে বলেন। বেড়ানো শেষে ১৮জানুয়ারি তাঁরা ঘুলুয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে চলে আসেন। গত ২১জানুয়ারি সকাল ছয়টার দিকে ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হন। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি শ্বশুড়কে মুঠোফোনে জানান গৃহবধূর স্বামী। এ ঘটনায় শ্বশুড়ের উপস্থিতিতে বিল্লাল হোসেন গত ২২জানুয়ারি থানায় একটি জিডি করেন।
    ধর্মপাশা থানা পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কংস নদে এক নারীর লাশ ভাসছে দেখতে পেয়ে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানায়। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যান ধর্মপাশা থানা পুলিশ। স্বজনদের উপস্থিতিতে ওইদিন বেলা একটার দিকে কংস নদ থেকে আঁখি মনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশের সূরতহাল প্রতিবেদন তৈরি মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে গৃহবধূর লাশটি ওইদিনই সুনামগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
    পুলিশ আরও জানায়, ওই গৃহবধূর বসতঘর তল্লাসী করে কাগজের দুটি পৃষ্ঠায় লেখা একটি চিঠি ও একটি খাতা জব্দ করা হয়। চিঠি ও খাতায় বিভিন্ন সময়ে লেখা পড়ে বুঝা গেছে ওই গৃহবধূ শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছেন । তবে আত্মহত্যার জন্য কাউকে তিনি দায়ী করেননি।
    গৃহবধূর বাবা আয়নাল হক বলেন,শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হযেছে। আমি এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করেছি।
    স্বামী বিল্লাল হোসেন দাবি করেন, নিজ স্ত্রীকে তিনি ও তাঁর লোকজন কোনোরকম নির্যাতন করেননি। তাঁদের জড়িয়ে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
    ধর্মপাশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গৃহবধূর বাবার দায়ের করা মামলায় আটক বিল্লাল হোসেন কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওইদিনই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content