জাতীয়

পলাশবাড়ী ও ময়মনসিংহে আলোচিত একই ব্যক্তি, দ্বৈত পরিচয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

  প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২৫ , ৯:২১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা:

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ও ময়মনসিংহে এক ব্যক্তিকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ এলাকায় তিনি নিজেকে “তাওহিদ ইসলাম” নামে পরিচিত করে থাকেন, অপরদিকে পলাশবাড়ীতে পরিচিত “হরিদাস চন্দ্র বাবু” নামে। একই ব্যক্তির দ্বৈত পরিচয়কে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুই জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত হওয়ায় তার উদ্দেশ্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য দ্বৈত পরিচয় ব্যবহার করছেন, আবার অন্যরা এটিকে ধর্মীয় ও সামাজিক প্রভাব বিস্তারের কৌশল বলেও অভিহিত করছেন।

পলাশবাড়ীর এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এখানে তাকে হরিদাস চন্দ্র বাবু বলেই জানি। কিন্তু হঠাৎ শুনছি ময়মনসিংহে তিনি তাওহিদ ইসলাম নামে পরিচিত। এটা কিভাবে সম্ভব, আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।”

অন্যদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার স্থানীয় সাংবাদিক আজিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করেন, “তাওহিদ ইসলাম নামে যাকে আমরা চিনি, যদি সত্যিই পলাশবাড়ীতে অন্য নামে পরিচিত হন, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।”

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা তুঙ্গে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন,একজন ব্যক্তি কীভাবে ভিন্ন এলাকায় সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিচয়ে চলাফেরা করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে তিনি আসলে কী অর্জন করতে চাইছেন।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো ব্যক্তি ভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করলে তা প্রতারণা বা আইনভঙ্গের শামিল হতে পারে। বিশেষত যদি এর মাধ্যমে আর্থিক, সামাজিক বা ধর্মীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা থাকে।

দ্বৈত পরিচয়ের এমন ঘটনার বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি প্রমানিত হলে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রয়োজন হলে প্রশাসনিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের মধ্যরামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা ও শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অপরদিকে তিনি তাওহিদ ইসলাম নামে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকায় রিসোর্ট ব্যবসয়ী ও দানশীল ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত।#

আরও খবর

Sponsered content