প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৫:১৮:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

৪৯৩ জনের রক্তের গ্রুপ সংগ্রহ, শনাক্ত হলো বিরল নেগেটিভ ব্লাড। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় রক্তদানে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আস্থা ব্লাড ডোনার্স ফোরামের উদ্যোগে, রসুলপুর সমাজ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে ও খাগড়াছড়ি মেডিক্যাল সেন্টার এর সার্বিক সহযোগীতায় দিনব্যাপী ফ্রি ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার রসুলপুর মাস্টার মার্কেটে এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
সকাল থেকেই সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় জমায় ক্যাম্পেইনে। প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী এই আয়োজনে মোট ৪৯৩ জনের রক্তের গ্রুপ সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি বিরল নেগেটিভ ব্লাড শনাক্ত হয়।
ক্যাম্পেইনে উপস্থিত থেকে সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন আস্থা ব্লাড ডোনার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক শাকিব হোসেন। এছাড়া মাটিরাঙ্গা ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ এম ফাহাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
শাকিব হোসেন বলেন, “রক্তদান মানবতার শ্রেষ্ঠ দান। আজকের এ আয়োজনে মানুষের অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। সংগৃহীত তথ্য দিয়ে একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা হবে, যাতে রক্তের প্রয়োজন হলে সহজেই দাতার খোঁজ পাওয়া যায়।”
অনুষ্ঠান চলাকালে রসুলপুরের বাসিন্দা মানিক (২৬) স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। তার এ দৃষ্টান্ত দেখে আরও অনেকে রক্তদানে উৎসাহিত হন। আয়োজকরা মনে করেন, মানিকের এই পদক্ষেপ তরুণ সমাজের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের ক্যাম্পেইন নিয়মিত হলে মানুষ রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং রক্তদানের মানসিকতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনের কাজে নিবেদিতপ্রাণভাবে অংশ নেন সংগঠনের সদস্যরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে তারা অনুষ্ঠানকে সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আস্থা ব্লাড ডোনার্স ফোরাম মাটিরাঙ্গা ও আশপাশের এলাকায় স্বেচ্ছায় রক্তদান, অসহায় রোগীদের সহযোগিতা ও সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। সংগঠনের সদস্যরা নিয়মিত রক্তদান করে ইতিমধ্যে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
ক্যাম্পেইন শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়— এই আয়োজন কেবল শুরু। সামনে আরও বড় আকারে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে। প্রতিটি মানুষ যেন নিজের রক্তের গ্রুপ জানে এবং প্রয়োজনে রক্তদানে এগিয়ে আসে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।”
দিনশেষে এলাকাবাসী আয়োজকদের প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও এমন মহৎ উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

















