• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • অর্থনীতি

    অসহায় দরিদ্র মানুষ মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাচ্ছেন খাদ্য বান্ধব চাল

      সারোয়ার হোসেন, তানোর: ১০ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:০৫:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ১৫টাকার ফেয়ারপ্রাইজের খাদ্য বান্ধব চাল পাচ্ছেন বৃত্তবান পরিবারের ব্যক্তিরা। আর দু’বেলা দুমুঠো পেট ভরে ভাত খেতে পাচ্ছেন না অসহায় দরিদ্র গরিব মানুষেরা। বর্তমান দেশের তৃণমূল নিপীড়িত জনগণের কথা ভেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকার ভুর্তুকি দিয়ে মিলারদের কাছে থেকে চাল কিনে সেই চাল মাত্র ১৫টাকা কেজি দরে কার্ডের মাধ্যমে ৫০ লাখ গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করছেন। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন মহত উদ্যোগ কে প্রশ্নবৃদ্ধ করতে একশ্রেণীর চালের ডিলার ও ইউপি চেয়ারম্যানরা নিজেদের ইচ্ছে মতো ব্যক্তিগত বিত্তশালীদের এ ১৫ টাকা কেজি চালের কার্ড দিয়েছেন। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দূর্দিনে কোটি কোটি টাকা ভূর্তুকি দিয়ে চাল কিনে অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে দিচ্ছেন,সেখানে ডিলাররা নিজের ইচ্ছে মতো প্রকৃত গরিব অসহায় মানুষের মাঝে না দিয়ে সমাজের প্রভাবশালী বৃত্তবান পরিবারের মাঝে দিচ্ছেন। যার ফলে অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে চাঁপা ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মহত উদ্যোগ জনসাধারণের কাছে ভেস্তে যাচ্ছে,সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের সুনাম। সোমবার সকালে উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গরিব মানুষের চাল মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাচ্ছে বৃত্তবান ব্যক্তিরা। উপস্থিত স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরনজাই ইউপির মন্ডলপাড়া গ্রামের তমির সরদারের ছেলে আমিনুল সরদার একজন স্বয়ং সম্পূর্ণ ব্যক্তি হয়েও নিচ্ছেন খাদ্য বান্ধবের ১৫টাকা কেজির চাল। তবে চাল নিতে তিনি কখনো নিজে আসেনা,তার নাতি বা মানুষের মাধ্যমে টাকা ও কার্ড পাঠিয়ে তোলেন অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে দেয়া ১৫ টাকা কেজির চাল। তার কার্ড নম্বর ১১৫। এরকম একই ইউপির শরিফুল ইসলাম নামের আরেক জন ব্যক্তি তিনিও নিজে না এসে তার ভাতিজার মারফতে তোলেন ১৫টাকা কেজির চাল। এবিষয়ে ফেয়ার প্রাইজের খাদ্য বান্ধব একাধিক চাল ডিলারদের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান,এসব চালের কার্ড প্রকৃত অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য, কিন্ত চেয়ারম্যানরা তা না করে তাদের ব্যক্তিগত মানুষকে দিয়েছে। সেজন্য উপকার ভোগীর কার্ড থাকায় বাধ্য হয়ে বৃত্তবান ব্যক্তিদের চাল দিতে হচ্ছে। কার্ডের অনিয়ম নিয়ে সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমাদের ভোট করতে হয়,সেই জন্য কিছু কিছু ব্যক্তিদের কার্ড দিতে হয় বলে এড়িয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, এমন বিষয়ে তার জানা নেই, যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

     

     

    আরও খবর

    Sponsered content