• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজনীতি

    এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওদের চক্রান্ত চলমান

      প্রতিনিধি ১ মে ২০২৩ , ১:৪০:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    সারোয়ার হোসেন,তানোর :

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নামে দুষ্কৃতকারীরা অপপ্রচার করতে মাঠে নেমে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এসব পদপদবী হারানো সমাজের ভাইরাস নামে চিহ্নিত বগি নেতাগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে জনপ্রিয়তা হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল।

    কিন্তু তারা আবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ঢোড়া সাপের মতো ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। কারণ সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন,নির্বাচনে বিরোধিতা করলেই মিলে নগদে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। তারা অবৈধ অর্থের লোভে অন্ধ হয়ে শুরু করেন নিজ দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিরোধিতা।

    ঠিক তাই এবারেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাঁচ বারের নৌকা মনোনীত ও তিন বারের সফল এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে প্রতিহত করতে নেমেছেন মাঠে। এরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা পেয়ে নির্বাচিত হতে পারেনা আর এমপি হওয়ার ক্ষোয়াব দেখে জমিজমা বন্ধকি বা বিক্রি করে কিছু হোন্ডা ভাড়া করে দিনরাত হাতুড়ি বাহিনী নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন উপজেলার একপান্তর থেকে অন্য পান্তর। এতে করে এসব বগি নেতাদের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষরা। অন্যদিকে এসব আওয়ামী লীগ বিরোধী বগি নেতারা এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরোধিতা করতে গিয়ে বার বার আওয়ামী লীগের নৌকা ডোবাচ্ছেন।

    জানা গেছে, শুধু তাই না’ জেলা আওয়ামী লীগের পদপদবী হারানো এক বগি নেতার ইন্ধনে একটি শক্তিশালী চক্রবাহিনী সিন্ডিকেট তৈরি করে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে নৌকাকে ফেল করাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে নৌকা ফুটো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে ষড়যন্ত্রকারীদের এসব ষড়যন্ত্রে তানোর গোদাগাড়ী আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় মাঠে ঘাটে এসব চক্রান্তকারীদের গণধাওয়া করে উত্তমমধ্যম দিতে পারে বলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে গুঞ্জন।

    নেতাকর্মীদের অভিযোগ,এসব অপকর্মে জড়িত তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও গোলাম রাব্বানীর অনুসারী মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুন্ডুমালা পৌরসভার বিদ্রোহী মেয়র সাইদুর রহমান ওরুফে কুলি সাইদুর ও তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র ইমরুল হক। আর এসব আওয়ামী লীগ বিরোধী বগি নেতাদের মুল গডফাদার সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। যাকে বিদ্রোহীদের মদদদাতা হিসেবেই এক নামে বেশি চিনেন রাজশাহী জেলার মানুষরা।

    তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ,জেলা আওয়ামী লীগের পদপদবী হারানো লক্ষী নেতার কুপরামর্শে রাব্বানী ও মামুন তানোর-গোদাগাড়ী আসনের জনপ্রিয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে লাগাতার ভাবে আওয়ামী লীগের সম্ভাবনাময় গোছানো মাঠ নষ্ট করতে তৎপর হয়ে পড়েছে। এরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিভেদ সৃষ্টি করতে বিএনপি জামাতের বি-টিম হয়ে অন্ধকারে কাজ করছেন।

    তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশকিছু প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,রাব্বানীকে এমপি মহোদয় দুইবার মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত করেছে। তিন বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু পরপর তিন বারই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাব্বানীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোট করে দুই জনেই ফেল করেছে। অথচ রাব্বানী মামুন এখন সবকিছু হারিয়ে রাজনীতির মাঠে দেউলিয়া হয়ে শত্রু থেকে বন্ধু হয়ে এমপি বিরোধী জোট বেঁধেছে। এরা পদপদবী হারানো বগি নেতার কুপরামর্শে দিনরাত মাঠে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

    তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না বলেন, যেখানে কাঁকন হাট পৌরসভার তিন বারের সফল জনপ্রিয় মেয়র আব্দুল মজিদ মন্ডলকে হাইকমান্ডের নির্দেশে বিদ্রোহী প্রার্থী থেকে বসিয়ে দেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। সেখানে হাইকমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে আওয়ামী লীগের নৌকা ডোবাতে সেভেন স্টার বাহিনী বিদ্রোহী প্রার্থী
    হিসেবে সাইদুর ও প্রয়াত মনিরুল ইসলাম বাবুকে দাঁড় করিয়ে ভোট করিয়েছেন। যদি তাঁরা আওয়ামী লীগ করে তাহলে দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে কি করে ভোট করে তাঁরা। আসলে এরা ভোট করতে আসেনা,এরা আওয়ামী লীগের নৌকা ফুটো করে নিজের স্বর্থ হাসিল করতে নির্বাচনের আগে এসব করেন।

    জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারার কাছে বর্তমান জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে লবিং গ্রুরুপিং কোন্দলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব বিবাদ নাই, উত্তরবঙ্গের মধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠন সবচেয়ে শক্তিশালী ও গতিশীল। এখানে বিএনপি জামাত মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠার অবস্থায় নাই,তাদের মাজা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একে অপরের কাঁধে কাঁধ হাতে হাত রেখে কাজ করছেন। এখানে বিএনপি জামাত মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠতে না পারলেও নিজ দলের কিছু ছিটকে পড়া ভূঁইফোড় কিছু কর্মীদের নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ আওয়ামী লীগের মনোনীত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নৌকা ডোবাচ্ছেন তাঁরা। যার সবগুলো তথ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরে সকল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন কেন্দ্রীয় নেতারা বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

     

    আরও খবর

    Sponsered content