• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজনীতি

    জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

      প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২৩ , ৪:২৬:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    শিবলী সাদেক রাজশাহী ব্যুরে প্রধান:

    আগামী ২১ জুন ২০২৩ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিষয়ে বিডি নিউজ টুডে এক সাক্ষাৎকারে মেয়র পদপ্রার্থী খাইরুজ্জামান লিটন বলেন:-এই নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে, এটা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বারংবার বলা হয়েছে। তার পরও যদি না আসে, আমাদের কী করার আছে? বলে জানান তিনি।এই নির্বাচনে কত শতাংশ মানুষ ভোট দেবে বলে আপনার ধারণা?

    লিটন: নানা কারণেই শতভাগ মানুষ ভোট দিতে পারেন না। চাকরির সুবাদে হোক, আর যেকোনো কারণেই হোক, অনেক মানুষই শহরের বাইরে থাকেন। তার পরও কমপক্ষে ৭০ ভাগ ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন বলে মনে করি।

     

    এই নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাকের পার্টির প্রার্থী রয়েছেন। বিজয়ী হতে আপনার কোনো চ্যালেঞ্জ আছে?

    লিটন বলেন,

    আমি কাউকে ছোট করে দেখি না। প্রার্থী যাঁরা হয়েছেন, তাঁরা তাঁদের জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৪ দলের প্রার্থীকে কতটুকু চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারবেন সেটা দেখার বিষয়। আমি মনে করি না যে খুব একটা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে আবারও বলছি যে, আমি কাউকে ছোট করে দেখি না।

    বিডিনিউজ টুডে ২৪ ডট কম

    সম্প্রতি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। সেই নির্বাচনের পর সতর্ক হচ্ছেন নাকি?

    লিটন বলেন:-

    গাজীপুরের বিষয়টি ভিন্ন। একসময় জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগ করতেন, মেয়র ছিলেন। সেই জাহাঙ্গীর দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পরে আবার তাঁকে নেওয়া হয়। এই নির্বাচনের সময় তাঁকে আবারও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এই সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তাঁর একটা অবস্থান তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অনেক তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ তাঁকে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে দেখতেন। কাজেই তিনি যখন মনোনয়ন না পেয়ে ভিন্নভাবে তাঁর মাকে প্রার্থী করে প্রচারে নামলেন, তখন তাঁর আবেগপূর্ণ বক্তব্যে মানুষ কিছুটা তাঁর পক্ষ নিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তৃণমূল থেকে উঠে আসা অত্যন্ত সৎ, যোগ্য, দক্ষ, শিক্ষিত একটা মানুষ। তিনি জিতলে আমি খুশি হতাম। গাজীপুরের মতো পরিস্থিতি রাজশাহীতে নয়।

    বিডি নিউজ টুডে:-

    আলোচনা ছিল আপনি এমপি-মন্ত্রী হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে অবদান রাখবেন। মেয়র পদেই নির্বাচন করছেন কেন?

    মেয়র পদপ্রার্থী লিটন বলেন:-

    সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার হিসেবে আমার জাতীয়ভাবে কাজ করার সুযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সেই সুযোগটি দিয়েছেন। কাজেই আমি মনে করি দলের প্রধান যেটা চেয়েছেন, তা মানাটাই কর্তব্য। সেটা মেনে নিয়েই আমি মেয়র পদে আছি এবং মেয়র থাকলে এই এলাকার, বিশেষ করে রাজশাহী বিভাগের অনেক কাজ করা সম্ভব হবে। অনেক কাজ বাকি আছে, এটা আমি করতে চাই।

    বিডি নিউজ টুডে:

    মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন, এটা কত দিন আগে জানতে পারেন?

    লিটন বলেন:-

    তফসিল ঘোষণার মাস দু-এক আগে থেকেই।

    বিডি নিউজ টুডে:

    শহীদ জাতীয় নেতার পরিবারের সন্তান হিসেবে আপনাকে নিয়ে রাজশাহীর মানুষের প্রত্যাশা বেশি। দলের কাছে আপনার নিজের কোনো প্রত্যাশা আছে কি না?

    খায়রুজ্জামান লিটন বলেন:-

    হ্যাঁ, যারা দলের কর্মী তাঁদের তো একটা প্রত্যাশা থাকবেই। আমাকে দল অনেক দিয়েছে। আমি ইতিমধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছি। এর আগে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক-সভাপতি দুটো পদেই ছিলাম। ’৯৬-এর পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই আমি মনোনয়ন পেয়েছি। কাজেই দল আমাকে যথেষ্টই দিয়েছে। এর পরও আমার কর্মকাণ্ডে দলের সভাপতি নেত্রী শেখ হাসিনাসহ হাইকমান্ড যদি আরও উচ্চতর কোনো জায়গায় নিয়ে যান, তাঁরা নিতেই পারেন।

    আরও খবর

    Sponsered content