প্রতিনিধি ৬ জুন ২০২৩ , ১:১৯:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মো:শাহানশাহ সোহান, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি চালকের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে গ্যারেজে বন্ধি রাখা হয়েছে। জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র বহনে জনসাধারণের দূভোর্গ চরমে। জানা যায় হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক আবদুল মজিদ বাবু ক্যান্সার জনিত রোরেগ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ জুলাই/২০২২ খ্রিঃ মারা যান। তার মৃত্যুর পর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি চালকের অভাবেই দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে গ্যারেজে পড়ে আছে। এ্যাম্বুলেন্সটি চালু না থাকায় হাসপাতালের অনেক জটিল ও কঠিন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জনসাধারণ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল বা ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিতে পারছে না। এদিকে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ থাকায় লক্কর-ঝক্কর মাইক্রোবাস নামক সাঁজানো বেসরকারিভাবে এ্যাম্বুলেন্সগুলো রোগী বহনে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া এসব এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দূরবর্তী হাসপাতালে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে মাঝপথে গাড়ী নষ্টসহ রোগীর স্বজনদের নানারকম দূভোর্গের স্বীকার হতে হয়। হাসপাতাল পরিসংখ্যান সূত্রে জানা যায় এ্যাম্বুলেন্স চালক আবদুল মজিদ বাবুর হাসপাতালে কর্মরত থাকাবস্থায় ২০২২ সালে ১ হাজার ১৪৭ জন রোগী বহন করেছেন। এ হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ২৪ ঘন্টায় ৯৫ জনের অধিক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক সদর হাসপাতাল পঞ্চগড় বা ঠাকুরগাঁও নিয়ে গেছেন। তার মৃত্যুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার জিপগাড়ী চালককে দিয়ে মাঝে মধ্যে এ্যাম্বুলেন্সটি চালানো হতো এবং ২০২৩ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী বহন করা হয়েছে। কিন্তু বিধি অনুযায়ী জিপগাড়ী চালককে দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স চালানোর কোন পরিপত্র না থাকায় কর্তৃপক্ষ চালকের অভাবে তা গ্যারেজ বন্ধি করেছে। এদিকে গাড়ীটি দীর্ঘদিন ধরে গ্যারেজে বন্ধি থাকায় ইঞ্জিন বিকল হওয়াসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ মরিচা ধরার উপক্রমের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে জনসাধারণের দূভোর্গের পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এব্যাপারে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলী এহসান বলেন, সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যুর পর চালকের অভাবে গাড়ীটি গ্যারেজে রাখা হয়েছে। অত্র হাসপাতালে জরুরীভিত্তিতে এ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পত্র পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের মৃত্যুর পর গাড়ীটি গ্যারেজে পড়ে আছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সংগে আলোচনা করে এ্যাম্বুলেন্স গাড়ীটি জরুরী ভিত্তিতে চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
তেঁতুলিয়া উপজেলাবাসী হাসপাতালের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি চালুর জন্য নতুন চালক নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্যের আশু দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন।