• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    রেলের প্রতীক্ষায় জেলাবাসী দৃশ্যমান কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন

      প্রতিনিধি ১৪ জুন ২০২৩ , ২:৫০:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও

    পর্যটন শহর কক্সবাজার থেকে মাত্র তিন কিলো মিটার পূর্বে ঝিলংজার হাজিপাড়া এলাকায় নব নির্মিত হচ্ছে আইকনিক রেল স্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এই রেল স্টেশনটি বেশ চমৎকার বটে। ভবনটির আয়তন এক লক্ষ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয় তলা ভবনটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে নতুন মাত্রায় আইকনিক রেল ভবন উদ্বোধনের কথাও জানিয়েছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো: নূরুল ইসলাম সুজন।

    রেলমন্ত্রী বিগত সপ্তাহে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরি দর্শন করেন। তিনি কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।

    রেলমন্ত্রী বলেন,সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক হিসেবে রেলকে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারাদেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে। আগামী আগস্টের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের জন্য সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

    মন্ত্রী বলেন- ‘আমাদের সকলের জন্য গর্বের একটা বিষয় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন। এরকম অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে তৈরি স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদি ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্র সৈকতে কিংবা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এ স্টেশন দিয়ে দিনে অসংখ্য মানুষ আসা যাওয়া করতে পারবেন।

    দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে আমরা চেষ্টা করছি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মধ্যে কাজ শেষ করতে। রেল স্টেশনগুলোর নির্মাণকাজও চলমান রয়েছে।

    এই আইকনিক রেল স্টেশনে থাকছে আধুনিক ট্রাফিক সুবিধা, স্টেশনের নিচতলায় টিকেট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, লকারসহ নানান সুবিধা, দ্বিতীয় তলায় শপিংমল ও রেস্তোরাঁ, তিন তলায় তারকা মানের হোটেল, মসজিদ, শিশু যত্ন কেন্দ্র ও চলন্ত সিঁড়ি। এখানে থাকছে এটিএম বুথ, পোস্ট অফিস, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথসহ নানান রকমের সেবা কেন্দ্র।

    ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে মেগা প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ মেগা প্রকল্পে ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার। দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিমি, রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিমি রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। রেলপথে স্টেশনের সংখ্যা থাকছে ৯টি। এগুলো হল- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়ার সাহারবিল, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম। এতে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম ৯টি,ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম থাকবে ৯টি। সাঙ্গু,মাতামুহুরী, বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। এছাড়া ৪৩টি মাইনর সেতু,২০১টি কালভার্ট, সাতকানিয়া কেঁওচিয়া এলাকায় ফ্লাইওভার, ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং এবং রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং রয়েছে।

    দীর্ঘদিনের দাবি কক্সবাজার রেলপথ এখন স্বপ্ন এর পরিবর্তে বাস্তবে পরিণত হল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় চলতি বছরেই রেল আসার প্রতীক্ষায় রয়েছে জেলাবাসী।

    আরও খবর

    Sponsered content