• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজনীতি

    ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে জায়েদা এখন স্বাবলম্বী”শিরোনামে খবর বের হলেও আবার পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি

      প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২৩ , ১১:১৯:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    রানা মুহম্মদ সোহেল,বগুড়া প্রতিনিধি

    নাম:জায়েদা খাতুন।”ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে জায়েদা এখন স্বাবলম্বী পত্রিকায় বড় বড় করে লেখা হেডলাইন, চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা। পেশা হিসেবে আবারও বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি। কিন্তু কেন?এমনই উত্তর খোঁজার জন্য চেষ্টা করেছি।

    জানা যায়, প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে বানানো একটি ঝুপড়িঘর। এই ঘরেই জায়েদার বসবাস। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সব ঋতুই জায়েদার কাছে এক রকম। বলছি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়া দক্ষিণপাড়ার মৃত কালাম উদ্দিন ওরফে কালাদ্দিনের মেয়ে জায়েদা বেওয়া।

    ষাটের কাছাকাছি বয়সী সহায়-সম্বলহীন এই নারীর জীবনসংসারে কেউ নেই। বহু বছর আগেই মা-বাবা, ভাই-বোনকে হারিয়েছেন। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার পর কোলের শিশুসন্তান মারা যাওয়ায় স্বামীও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। সারা দিন ঘুরে ঘুরে শাক-কচু সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি বিক্রি বা কখনো ভিক্ষুাবৃত্তি করে সারা দিনে যা পেতেন তাই তাঁর ছিল মূলধন।

    কোনো কোনো দিন শাক-কচু পাওয়া না গেলে ওই দিনের একমুঠো ভাতের খোরাক জুটত চেয়েচিন্তে আর ভিক্ষা করে। মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই বাঁশের মোটা কঞ্চির খুঁটি গেড়ে সিমেন্টের প্লাস্টিক বস্তা টানিয়ে একটি ঝুপড়িঘর। গ্রামের ছোট ছেলে-মেয়েদের খেলনা ঘরের মতোই ঘরটি। ঘরের কোণে একটি চুলা।

    পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো কিছু জিনিসপত্র। অন্যের জমির ওপর নর্দমার পাশে এই ঝুপড়িঘরেই জায়েদা বেওয়ার বসবাস। তখনই পত্রিকার পাতায় আসে জায়েদার খবর। ২০২০ সালের ১৭ জুন কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘যে জীবন ফড়িংয়ের দোয়েলের’ শিরোনামে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়।

    এরপর ২৮ জুন কালের কণ্ঠ অনলাইনে ‘প্লাস্টিক বস্তার ঝুপড়ি এখন জায়েদার স্বপ্নের রাজপ্রসাদ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয়ভাবে মানুষের নজরে আসে।

    জীবনযুদ্ধে পরাজিত সহায়-সম্বলহীন স্বজনহারা এই জায়েদা বেওয়ার খবর জানতে পেরে তাঁর পাশে দাঁড়ায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।

    ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে ছুটে আসেন কালের কণ্ঠ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক বর্তমানে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। সঙ্গে ছিলেন শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান।

    তাঁরা নিজ হাতে অসহায় জায়েদাকে স্বাবলম্বী করতে তাঁর হাতে তুলে দেন এক জোড়া করে ছাগল, হাঁস ও মুরগি। সে সময় উপস্থিত শুভসংঘ শাজাহানপুর উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এ কে এম আছাদুর রহমান দুলু ও শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু জায়েদার সারা জীবনের স্বপ্ন মাথা গোঁজার মতো একটি ঘর নির্মাণের আশ্বাস দেন।

    পাশাপাশি জায়েদার খাবারের জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ও সাংসারিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহবার হোসেন ছান্নু। সেই অনুযায়ী ৩০ কেজি চাল, হাঁড়ি-পাতিল, জগ-গ্লাস, বালতি ও কাঁচা তরকারিসহ সাংসারিক সরঞ্জাম নিজ হাতে জায়েদাকে পৌঁছে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ছান্নু।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেছিলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় জায়েদার নামে সরকারি কোনো বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করা হয়।

    কিন্তু কালের পরিক্রমায় জায়েদার স্বপ্ন যেন অধরাই রয়ে গেল এমনই দাবি জায়েদার।সে বলে দূর্ভাগ্য আমার, আমার জন্মই যেন আজন্ম পাপ।আমাকে দেয়া সব ছাগল হাঁস মুরগী মারা গেছে,আগের মতো এখন আর রাখে না কেউ কোনো খোঁজ।তাই তো জীবন ধারণের জন্য পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি ভিক্ষাবৃত্তি। এ রকম হাজারো জায়েদা আমাদের আশেপাশে রয়েছে যারা দুমুঠো ভাতের জন্য সারাদিন পরিশ্রম করছে।জায়েদার মতো এমন ভাগ্য যেনো আর কারও কপালে না জোটে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাসীর।

    ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে জায়েদা এখন স্বাবলম্বী”শিরোনামে খবর বের হলেও আবার পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি!

    রানা মুহম্মদ সোহেল,বগুড়া প্রতিনিধি

    নাম:জায়েদা খাতুন।
    “”ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে জায়েদা এখন স্বাবলম্বী””পত্রিকায় বড় বড় করে লেখা হেডলাইন, চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা। পেশা হিসেবে আবারও বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি। কিন্তু কেন?এমনই উত্তর খোঁজার জন্য চেষ্টা করেছি।

    জানা যায়, প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে বানানো একটি ঝুপড়িঘর। এই ঘরেই জায়েদার বসবাস। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সব ঋতুই জায়েদার কাছে এক রকম। বলছি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়া দক্ষিণপাড়ার মৃত কালাম উদ্দিন ওরফে কালাদ্দিনের মেয়ে জায়েদা বেওয়া।

    ষাটের কাছাকাছি বয়সী সহায়-সম্বলহীন এই নারীর জীবনসংসারে কেউ নেই। বহু বছর আগেই মা-বাবা, ভাই-বোনকে হারিয়েছেন। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার পর কোলের শিশুসন্তান মারা যাওয়ায় স্বামীও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। সারা দিন ঘুরে ঘুরে শাক-কচু সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি বিক্রি বা কখনো ভিক্ষুাবৃত্তি করে সারা দিনে যা পেতেন তাই তাঁর ছিল মূলধন।

    কোনো কোনো দিন শাক-কচু পাওয়া না গেলে ওই দিনের একমুঠো ভাতের খোরাক জুটত চেয়েচিন্তে আর ভিক্ষা করে। মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই বাঁশের মোটা কঞ্চির খুঁটি গেড়ে সিমেন্টের প্লাস্টিক বস্তা টানিয়ে একটি ঝুপড়িঘর। গ্রামের ছোট ছেলে-মেয়েদের খেলনা ঘরের মতোই ঘরটি। ঘরের কোণে একটি চুলা।

    পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো কিছু জিনিসপত্র। অন্যের জমির ওপর নর্দমার পাশে এই ঝুপড়িঘরেই জায়েদা বেওয়ার বসবাস। তখনই পত্রিকার পাতায় আসে জায়েদার খবর। ২০২০ সালের ১৭ জুন কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘যে জীবন ফড়িংয়ের দোয়েলের’ শিরোনামে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়।

    এরপর ২৮ জুন কালের কণ্ঠ অনলাইনে ‘প্লাস্টিক বস্তার ঝুপড়ি এখন জায়েদার স্বপ্নের রাজপ্রসাদ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয়ভাবে মানুষের নজরে আসে।

    জীবনযুদ্ধে পরাজিত সহায়-সম্বলহীন স্বজনহারা এই জায়েদা বেওয়ার খবর জানতে পেরে তাঁর পাশে দাঁড়ায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।

    ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে ছুটে আসেন কালের কণ্ঠ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক বর্তমানে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। সঙ্গে ছিলেন শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান।

    তাঁরা নিজ হাতে অসহায় জায়েদাকে স্বাবলম্বী করতে তাঁর হাতে তুলে দেন এক জোড়া করে ছাগল, হাঁস ও মুরগি। সে সময় উপস্থিত শুভসংঘ শাজাহানপুর উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এ কে এম আছাদুর রহমান দুলু ও শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু জায়েদার সারা জীবনের স্বপ্ন মাথা গোঁজার মতো একটি ঘর নির্মাণের আশ্বাস দেন।

    পাশাপাশি জায়েদার খাবারের জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ও সাংসারিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহবার হোসেন ছান্নু। সেই অনুযায়ী ৩০ কেজি চাল, হাঁড়ি-পাতিল, জগ-গ্লাস, বালতি ও কাঁচা তরকারিসহ সাংসারিক সরঞ্জাম নিজ হাতে জায়েদাকে পৌঁছে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ছান্নু।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেছিলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় জায়েদার নামে সরকারি কোনো বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করা হয়।

    কিন্তু কালের পরিক্রমায় জায়েদার স্বপ্ন যেন অধরাই রয়ে গেল এমনই দাবি জায়েদার।সে বলে দূর্ভাগ্য আমার, আমার জন্মই যেন আজন্ম পাপ।আমাকে দেয়া সব ছাগল হাঁস মুরগী মারা গেছে,আগের মতো এখন আর রাখে না কেউ কোনো খোঁজ।তাই তো জীবন ধারণের জন্য পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি ভিক্ষাবৃত্তি। এ রকম হাজারো জায়েদা আমাদের আশেপাশে রয়েছে যারা দুমুঠো ভাতের জন্য সারাদিন পরিশ্রম করছে।জায়েদার মতো এমন ভাগ্য যেনো আর কারও কপালে না জোটে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাসীর

    রানা মুহম্মদ সোহেল,বগুড়া প্রতিনিধি

    নাম:জায়েদা খাতুন।
    “”ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে জায়েদা এখন স্বাবলম্বী””পত্রিকায় বড় বড় করে লেখা হেডলাইন, চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা। পেশা হিসেবে আবারও বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি। কিন্তু কেন?এমনই উত্তর খোঁজার জন্য চেষ্টা করেছি।

    জানা যায়, প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে বানানো একটি ঝুপড়িঘর। এই ঘরেই জায়েদার বসবাস। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সব ঋতুই জায়েদার কাছে এক রকম। বলছি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়া দক্ষিণপাড়ার মৃত কালাম উদ্দিন ওরফে কালাদ্দিনের মেয়ে জায়েদা বেওয়া।

    ষাটের কাছাকাছি বয়সী সহায়-সম্বলহীন এই নারীর জীবনসংসারে কেউ নেই। বহু বছর আগেই মা-বাবা, ভাই-বোনকে হারিয়েছেন। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার পর কোলের শিশুসন্তান মারা যাওয়ায় স্বামীও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। সারা দিন ঘুরে ঘুরে শাক-কচু সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি বিক্রি বা কখনো ভিক্ষুাবৃত্তি করে সারা দিনে যা পেতেন তাই তাঁর ছিল মূলধন।

    কোনো কোনো দিন শাক-কচু পাওয়া না গেলে ওই দিনের একমুঠো ভাতের খোরাক জুটত চেয়েচিন্তে আর ভিক্ষা করে। মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই বাঁশের মোটা কঞ্চির খুঁটি গেড়ে সিমেন্টের প্লাস্টিক বস্তা টানিয়ে একটি ঝুপড়িঘর। গ্রামের ছোট ছেলে-মেয়েদের খেলনা ঘরের মতোই ঘরটি। ঘরের কোণে একটি চুলা।

    পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো কিছু জিনিসপত্র। অন্যের জমির ওপর নর্দমার পাশে এই ঝুপড়িঘরেই জায়েদা বেওয়ার বসবাস। তখনই পত্রিকার পাতায় আসে জায়েদার খবর। ২০২০ সালের ১৭ জুন কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘যে জীবন ফড়িংয়ের দোয়েলের’ শিরোনামে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়।

    এরপর ২৮ জুন কালের কণ্ঠ অনলাইনে ‘প্লাস্টিক বস্তার ঝুপড়ি এখন জায়েদার স্বপ্নের রাজপ্রসাদ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয়ভাবে মানুষের নজরে আসে।

    জীবনযুদ্ধে পরাজিত সহায়-সম্বলহীন স্বজনহারা এই জায়েদা বেওয়ার খবর জানতে পেরে তাঁর পাশে দাঁড়ায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।

    ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে ছুটে আসেন কালের কণ্ঠ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক বর্তমানে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। সঙ্গে ছিলেন শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান।

    তাঁরা নিজ হাতে অসহায় জায়েদাকে স্বাবলম্বী করতে তাঁর হাতে তুলে দেন এক জোড়া করে ছাগল, হাঁস ও মুরগি। সে সময় উপস্থিত শুভসংঘ শাজাহানপুর উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এ কে এম আছাদুর রহমান দুলু ও শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু জায়েদার সারা জীবনের স্বপ্ন মাথা গোঁজার মতো একটি ঘর নির্মাণের আশ্বাস দেন।

    পাশাপাশি জায়েদার খাবারের জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ও সাংসারিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহবার হোসেন ছান্নু। সেই অনুযায়ী ৩০ কেজি চাল, হাঁড়ি-পাতিল, জগ-গ্লাস, বালতি ও কাঁচা তরকারিসহ সাংসারিক সরঞ্জাম নিজ হাতে জায়েদাকে পৌঁছে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ছান্নু।স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেছিলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় জায়েদার নামে সরকারি কোনো বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করা হয়।

    কিন্তু কালের পরিক্রমায় জায়েদার স্বপ্ন যেন অধরাই রয়ে গেল এমনই দাবি জায়েদার।সে বলে দূর্ভাগ্য আমার, আমার জন্মই যেন আজন্ম পাপ।আমাকে দেয়া সব ছাগল হাঁস মুরগী মারা গেছে,আগের মতো এখন আর রাখে না কেউ কোনো খোঁজ।তাই তো জীবন ধারণের জন্য পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি ভিক্ষাবৃত্তি। এ রকম হাজারো জায়েদা আমাদের আশেপাশে রয়েছে যারা দুমুঠো ভাতের জন্য সারাদিন পরিশ্রম করছে।জায়েদার মতো এমন ভাগ্য যেনো আর কারও কপালে না জোটে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাসীর।

    আরও খবর

    Sponsered content