প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৩২:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গাপ্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলায় সাপের উপদ্রব দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জুলাই মাসে সাপে কামড়ানো ৪৮ রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। বিপরীতে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে চিকিৎসারত অবস্থায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জেলার ৩টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন সাপে কামড়ানো রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৪৮ জন সাপে কামড়ানো রোগী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তার মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও নারী ২৩ জন। মারা গেছে ৪ জন। জেলার দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে মোট ২০ জন সাপে কামড়ানো রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।সাপের কামড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ৪ জুলাই ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের শওকতের ছেলে হালিম, ৮ জুলাই চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নুরনগর গ্রামের চান্দু ফকিরের ছেলে নাজমুল,২৪ জুলাই আলমডাঙ্গা উপজেলার নওলামারী গ্রামের জোসনা বেগম ও ২৮ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, সাপে কামড়ানোর পর রোগীকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে আনতে হবে। চিকিৎসক যদি মনে করেন বিষধর সাপে কামড় দিয়েছে, তাহলে সেই রোগীকে অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন দিবে। বর্তমানে জেলার হাসপাতাল গুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে।