• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    ফরিদপুরে কাঁটাতারের বেড়ায় অবরুদ্ধ প্রবাসী পরিবার

      প্রতিনিধি ১৪ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৪৭:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    ধানকাটা নিয়ে বিবদমান দুটি পক্ষের সংঘাত। নিহত হন একই গ্রামের বৃদ্ধা আলমগীর মাতুব্বর। হত্যার পিছনে ইন্দন্দাতা প্রবাসী পরিবার। এমন অভিযোগে প্রবাসী একটি পরিবারের মা ও তিন ভাইর স্ত্রীকে বাড়ির চারপাশে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী প্রবাসী পরিবারের।

    চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামের। সামাজিক বহির্ভূত এ ঘটনার প্রেক্ষিতে উদবিঘ্ন ও সঙ্কটের মধ্য রয়েছে অসহায় পরিবারটি। গত দুদিন ধরে বাড়ি ও ঘর ছেড়ে কোথাও বের হতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে অভিযোগ বৃদ্ধা হাসিনা বেগমের।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাসে আগে আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আলমগীর মাতুব্বর নিহত হন। পরিবারের পক্ষ থেকে ভাঙ্গা থানায় মামলা করে। মামলায় পুরুষ শুন্য হয়ে পরে ওই গ্রাম। বিভিন্ন সময়ে একাধীকবার বিবাদী পরিবারগুলোর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা করে বিবাদী পরিবারগুলো। দেই থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন হত্যা মামলার বাদীর লোকজন। অশান্ত হয়ে উঠে ছোট খারদিয়া গ্রামের জনপদ।

    প্রায় তিন মাস পুরুষ শুন্য এলাকায় চলতে থাকে অপরাধ প্রবণতার অগ্নি রুপ। বিষয়টি মানবিকভাবে জনপ্রতিনিধিদের নজরে আসে। নতুন করে কোন সহিংসতা সৃষ্টি না হয় সেই লক্ষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শান্তি শৃঙ্খলা সভা করেন। আদালতে মামলার ফয়সালা ন্যাস্ত থাকবে এর্মে দুই গ্রুপেরসহ অবস্থান ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান। গ্রামের সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে ওই সভায় উপস্থিত সকলে সম্মতি ও একাত্মতা প্রকাশ করেন। কিন্ত হঠাৎই করে গত দুদিন আগে ওই গ্রামের মৃত সালাম মোল্লা পরিবারের উপর কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে পরিবারটিকে অবরুদ্ধর ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন করে অজানা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে জনমনে।

    সরজমিনে গিয়ে রোববার জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়ির চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। বাড়ির বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। দৈনন্দিন জীবনের চলাচল করতে পারছেন না তারা কেউ। হত্যা মামলায় এক সন্তান আসামী হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে ফেরারি। অন্য দুই ছেলে প্রবাসী। বাড়িতে শুধু তিন ছেলের বউ ও মা বসবাস করছে। এলাকারন সাধারণ মানুষের অনেকের ভাষ্যমতে এ ঘটনায় চরম আকারে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। কিন্ত হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজনের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছেন না।

    ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ির তিন পাশে কাটে তারের বেড়া দিয়েছে কাউছার মাতুব্বর গং। তারা বলছেন আমাদের বাড়িতে তাদের দৌহিত্র জায়গা রয়েছে। এমন বিভিন্ন কথা বলে আমাদেরকে শাসিয়ে রাখছে। বাড়িতে পুরুষ না থাকায় আমরা তদের ভয়ে কোন কথা বলতে পারছি না। আমরা ছেলেরা প্রবাসী। কিন্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে আমার ছেলেদের নির্দেশে (বিদেশ থেকে) আলমগীর মাতুব্বরকে হত্যা করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে নদী। কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার কারণে আমরা বাড়ির বাহিরে যেতে পারছি না। দ্রুত এই কাটা তারের বেড়া অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন,গত দুই দিন যাবত বন্দি হয়ে রয়েছি। বাড়ি থেকে দোকানে বা বাজার হাট করতে পাচ্ছিনা। বাড়িতে তিনজন মহিলা বসবাস করি। দুটি পরিবারের সবাই কাটাতারের বেড়ায় বন্দী হয়ে আছি। জমির মালিক মাসুদ মিয়া ও আলি মিয়া কিন্তু এলাকার দলে জাকারিয়া মাতুব্বর ও কাউছার মাতুব্বর মিলে দুটি পরিবারকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে পূর্ব শত্রুতার জের নিচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।

    কাঁটা তার দিয়ে দুটি পরিবারকে কেন বাড়ি থেকে বেড় হতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছেন এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেশী জাকারিয়া মাতুব্বর বলেন, জমির মুল মালিক আমি। এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আমাদের জায়গা কাটাতারের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সালাম মোল্লা পরিবারের লোকজন অযাচিত হয়ে তাদের জমি বলে দাবী করছে বলে জানান তিনি।

    ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি লোকমুখে আমরা জানতে পেরেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এবিষয়ে কথা হয়েছে এবং তাকে সাথে নিয়ে বিষয়টি সরজমিনে গিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

    আরও খবর

    Sponsered content