প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১১:৩৯:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
হারুনুর রশিদ কাহালু বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার কাহালুতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসীর হাতে দুই জনকে আটকের ঘটনার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী কর্তৃক দুই লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফা করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩১ আগষ্ট গাভীর রাতে উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের মালিগাছা কারবালা পাড়ার বেলাল হোসেনের ছেলে ২ সন্তানের জনক বাপ্পি হোসেন ( ৫৫) ও একই গ্রামের মানিক উদ্দিনের স্ত্রী ১ সন্তানের জননী জেসমিন (৪০) কে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসী তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিটু চৌধুরীর নির্দেশে গ্রামবাসী তাদের আটক করে, ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। তাদের পাহারা দিয়ে রাখতে চেয়ারম্যানের নির্দেশে মানিকের বাড়িতে একজন চৌকিদার নিযুক্ত করা হয়। বিষয়টি পরে মিমাংসা করা হবে বলে চেয়ারম্যান গ্রামবাসীকে জানান। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় সকাল থেকেই আশেপাশের বহুলোক তাদের দেখতে মানিকের বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে। জেসমিনের স্বামী মানিক একটি কারখানায় পার্টেক্স বোর্ডের কাজ করে বলে জানা গেছে। ঐ রাতে জেসমিনের স্বামী মানিক বাড়িতে না থাকার সুযোগে জেসমিনের সহযেগিতায় বাপ্পি তার ঘরে ঢুকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। বিষয়টি প্রতিবেশিরা টের পেয়ে বাপ্পি ও জেসমিন কে তারা আটক করে। এ ঘটনা দিনভর নানা গুঞ্জন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিটু চৌধুরী ও ওয়ার্ড মেম্বর মোজাম্মেল ও খারশেদ আলম ঘুটু মিয়া গোপনে দুই লাখ টাকায় বিষয়টি রফাদফা করেছে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যপারে পাইকড় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিটু চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।