• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    বগুড়া আদমদীঘিতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম

      প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:২৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    সজীব হাসান, (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

    বগুড়া জলার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন এলাকায় কোমারপুর কমিউনিটি ক্লিনিক নিমার্ণে নিন্মমানের ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইট ও সিমেন্ট ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে দেওয়ান মামুনুর রশিদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সংবাদ কর্মীরা ঘটনা স্থলে গিয়ে সেখানে ব্যাপক অনিয়মের সত্যতা পাই। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি নিন্মমানের উপকরণ ও কাজে অনিয়ম করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূতে জানা গেছে সেখানে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকটি নির্মাণ করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর কাজটি করছিল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দেওয়ান মামুন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে উপজেলার কোমারপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটির পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কাজ শুরুর প্রথম দিকে ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করলেও পরবর্তী সময় থেকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছিল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় ও গ্রামবাসীদের সূত্রেজানা যায় সেখানে এক নাম্বার ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করছে তিন নাম্বার ইট ও নিন্মমানের সিমেন্ট। এছাড়া নিমার্ণাধীন ক্লিনিকের মেঝে ঢালাইয়ে খোয়া ব্যবহার ছাড়াই বালু ও পরিমানের চেয়ে কম সিমেন্টের সংমিশ্রন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ফলে বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা।
    কোমারপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের দাতা সদস্য আকবর হোসেন বলেন, সিডিউল মোতাবেক যেভাবে কাজ করার কথা ছিল সেভাবে কাজ করা হয়নি। এক নাম্বার ইট দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও তারা তিন নাম্বার ইট ব্যবহার করে কাজ করছে। এছাড়া ক্লিনিকের তিন দিকে তিনটি সিঁড়ি করার কথা থাকলেও তা এক দিকে করেছে। মেঝে ঢালাইও করেছে ইটের খোঁয়া ছাড়া।
    একই ধরনের অভিযোগ করে ওই ক্লিনিকের সি এইচ ই পি বিমল কুমার জানান প্রথমে ভালো ইট দিয়ে কাজ চল্লেও পরে খারাপ ইট দিয়ে তারা কাজ করছিল। এলাকাবাসী বাঁধা দেওয়ায় তারা কাজ বন্ধ রাখে। পরে এলাকাবাসীর অনুপস্থিতিতে তিন নাম্বার ইট ব্যবহার করেই তারা কাজ চালিয়ে যায়। কোমাপুরের সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ মন্ডল জানান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছিল ঠিকাদার। তাকে ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কথা বল্লেও তিনি তা করেননি। সর্বশেষ মেঝে ঢালাই কাজে ইটের খোয়া ব্যবহার না করে সরাসরি বালুর উপরে ঢালাই দেওয়াই এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাঁধা দিলে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এ বিষয়ে ঠিকাদার দেওয়ান মামুন সাংবাদিকদের জানাই এলাকাবাসী কাজটা বন্ধ করেনি। কাজটা আমরা নিজেই বন্ধ করেছি। ইট ভাটা থেকেই খারাপ ইট দেওয়ার কারণে কাজ আপাতত বন্ধ আছে। কিছুদিনের মধ্যেই ভালো মানের ইট দিয়ে আবার কাজ শুরু হবে। মেঝে ঢালাইয়ে অনিয়ম ও নিন্মমানের ইট দিয়ে কেন কাজ করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের জানান এখানে খারাপ কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শন করেছে। তাই কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। বগুড়া স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমি ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।

    আরও খবর

    Sponsered content