• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    জীবন নগর চোরপোতা তেঁতুলিয়া রাস্তার জমিতে প্রভাবশালীদের প্রাচীর নির্মানে অবরুদ্ধের অভিযোগ উঠেছে

      প্রতিনিধি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১:৩৩:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

    তামজিদুর রহমান বিদ্যুৎ, জীবননগর  প্রতিনিধি

    চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর পৌরএলাকার চোরপোতা তেঁতুলিয়ায় একটি প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র একটি পরিবারের বাড়ির সামনে রাস্তার জমিতে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। প্রাচীর নির্মাণের ফলে হতদরিদ্র পরিবার টি প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অভিযুক্ত পরিবারের দাবী তাদের বাড়িতে যাওয়া জন্য রাস্তার জমি চেয়ে ব্যর্থ হয়ে তারা তাদের নিজেস্ব জমিতেই প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পৌর কতৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ পাওয়ার পরও প্রাচীর অপসারণ করা হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে গ্রামের সাধারন মানুষের মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ কাজ করলেও অভিযুক্ত এ-ই প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না।

    জীবন নগর পৌর এলাকার চোর পোতা তেতুলিয়ার মৃত ইরাজ বিশ্বাসের ছেলে আবু বাক্কা বলেন, আমি ক্রয় সুত্রে ৫শতক জমিতে বাড়ী ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছি। এ-ই আমার প্রতিবেশী ছেলে প্রভাবশালী হাজী রশিদ, শফিক, মফিজ, রফিক,ও হাফিজ আমার নিকট দাবী করে যে, মফিজের বাড়ী যাওয়ার জন্য এক শতক জমি রাস্তার জন্য ছেড়ে দিতে হবে। বর্তমানে মফিজের বাড়ী যাওয়ার জন্য পৌরসভার পাকা রাস্তা রযেছে। অথচ তার বাড়িতে সহজে যাওয়ার জন্য আমার ৫শতক জমি থেকে তাদের কে এক শতক জমি দিতে হবে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে শায়েস্তা করার জন্য রাস্তার নামে রেকর্ড কৃত জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করে আমার পরিবারকে এক প্রকার অবরুদ্ধ করে ফেলে।
    এ অবস্থায় আমি পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ি। এক পর্যায়ে আমি ঘটনা টিকে নিয়ে পৌর সভার মেয়র মহা দ্বয়ের দ্বারস্থ হলে। মেয়র মহা দ্বয় তাদেরকে রাস্তাটি অবমুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা মফিজ ও তার ভাইয়েরা অমান্য করে । পরে আমি উপজেলা অফিসারের দ্বারস্থ হই। তিনিও উভয় পক্ষকে ডেকে লিখিত ভাবে প্রতিপক্ষ কে আদেশ দেন যে আমাকে তারা কোন ভাবেই অবাধ যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করবে না। রাস্তা বন্ধ করা গন উপদ্রুপ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরও তারা প্রাচীর অপসারন না করে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমি বাড়ীতে বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে এক প্রকার অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছি।
    সরজমিনে ভুক্তভোগী আবু বাক্কার বাড়ীর সামনের রাস্তায় প্রাচীর দেখা যায়।গ্রামের একাধিক মানুষের দাবী তারা জন্মের পর থেকে দেখে আসছেন বিরোধ পূর্ণ জমির পরিমান রাস্তার উভয় দিক মিলে ৮শতক। যা উভয় দিকে ৪শতক করে রাস্তার জন্য এবং রাস্তার জমি হিসাবে জেনে আসছেন। আর এস খতিয়ান নং -১৮৭/ রেকর্ডে উক্ত জমি পথ হিসাবে এখনও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে আবু বাক্কার সাথে দ্বন্দ্বের কারণে তার কাছে জমি দাবী করে না পেয়ে মফিজরা কয় ভাই মিলে রাস্তার জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করে দিয়ে বাক্কার পরিবারকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। যা গ্রামবাসীর কাছে অমানবিক।
    অভিযুক্ত মফিজ বলেন, বাক্কার কাছে আমরা এক শতক দুশতক জমি চাইনি। আমার বাড়ীতে সোজা রাস্তা করার জন্য দুফুট জমি চেয়েছিলাম। বাক্কা সেই জমি টুকু আমাকে দিতে পারিনি, তাহলে আমরা কেন তাকে আমাদের জমির উপর দিয়ে যাতায়াত করতে দেব? আমরা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দিয়েছি। তারপরও তাদের যাতায়াতের জন্য একটু গলি রাস্তা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমরা প্রাচীর দিয়ে যে জমি ঘিরে দিয়ে ছি তা সরকারি ম্যাপের রাস্তা নয়। আমাদের জমিতেই আমরা প্রাচীর নির্মাণ করেছি।
    এদিকে বিরোধ পূর্ণ জমি নিয়ে উভয় পক্ষকর গনশুনানি করা জীবন নগর উপজেলার সাবেক ইউএনও মো.রোকনুজ্জামানের লিখিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভুক্তভোগী আবু বাক্কাকে কোন
    ভাবেই তার জমিতে অবাধ যাতায়াতের ব্যাপারে প্রতিবন্দ্ধীকতা সৃষ্টি না করতে এবং চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা গনউপদ্রুব এবং দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু প্রতিপক্ষ মফিজ ও তার অন্য ভাইয়েরা তা অমান্য করে সরকারি রাস্তার জমি তে প্রাচীর নির্মাণ করে আবু বাক্কা ও পরিবারের সদস্যদের অবাধ চলাচলে প্রতিবন্দ্বীকতা সৃষ্টি করছেন।
    জীবন নগর পৌর সভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষকে পৌরসভায় ডেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রাচীর অপসারণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু কি কারনে এখনও প্রাচীর অপসারন করা হয়নি তা আমার জানা নেই। কারো বসতবাড়ির সামনে প্রাচীর নির্মাণ করে প্রতিবন্দ্ধীকতা সৃষ্টি করা অমানবিক। আর যদি তা সরকারি রাস্তার জমি হয় তাহলে তো বেআইনি।

    আরও খবর

    Sponsered content