প্রতিনিধি ১৮ অক্টোবর ২০২৩ , ৯:০৭:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
সজীব হাসান, স্টাফ রিপোর্টার:
রাতের আঁধারে রাস্তার ওপর গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতি করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ৩ জন আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য। ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক ১২ অক্টোবর ধুনট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর দূর্গাপুর এলাকার খোকন হোসেন (৩৫), বগুড়ার শাজাহানপুরের মোজ্জাফর হোসেন বিপুল (৩৫) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক বগুড়া সদরের শিকারপুর এলাকার নজরুল ইসলাম (৪৫)। খোকন ও বিপুল শহরের হরিগাড়ী এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। গত ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় পথরোধ করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ডাকাতি করেন অভিযুক্তরা। ওই ঘটনায় ডাকাতির শিকারদের মধ্যে আব্দুল মালেক ১২ অক্টোবর ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজন গ্রেপ্তার হন।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, আব্দুল মালেক তার চাচাতো ভাই রাকিবুল হাসান আকিল ও আরেক ছোট ভাই মনিরকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে কদমতলা এলাকায় দেখেন রাস্তার ওপর গাছের গুঁড়ি। সেখানে থামতেই দুষ্কৃতিকারীরা এসে তাদের এলোপাথাড়িভাবে মারধর শুরু করেন। এরপর ভুক্তভোগীদের কাছে থাকা নগদ এক লাখ দুই হাজার টাকা এবং প্রায় ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি স্মার্ট ফোন কেড়ে নেন। পরবর্তীতে মামলা হলে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে বলে জানান স্নিগ্ধ আখতার। তদন্তে পুলিশ খোকন নামে একজনকে শনাক্ত করতে পারে। তাকে গতকাল সোমবার শহরের চকসূত্রাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যানুযায়ী বিপুল ও পরে অটোরিকশা চালক নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছে থেকে ধারালো বটি, বার্মিজ চাকু, দড়ি, হেক্সোব্লেড ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে ৩ জনই ডাকাতির কথা শিকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে পথরোধ করে ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণ করে বেড়াতেন তারা। গ্রেপ্তার তিন জন আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য উল্লেখ করে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় খোকনের নামে বগুড়া ও গাইবান্ধার বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে। আর বিপুলের নামে চুরি, ডাকাতি ও হত্যাসহ ৮টি এবং নজরুলের বিরুদ্ধে চারটি মামলার সন্ধান মিলেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।