গোবিন্দগঞ্জে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল

মোঃ আল মুমিন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টর

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সকাল ১০টায় গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের কুঠিবাড়ি থেকে হাজার হাজার মোটর সাইকেলের একটি বিশাল বহর নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সেখানে বক্তব্যে সাবেক সাংসদ বলেন, অবরোধে জনগণের সাড়া নেই। বিএনপি-জামায়াত যেন কোনো নৈরাজ্য করতে না পারে, সেজন্য আমরা রাস্তায় আছি।

অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহর, কামারদহ ইউনিয়নের ফাঁসিতলা ও চাপড়ীগঞ্জ, দরবস্ত ইউনিয়নের কোমরপুর ও কালিতলা, তালুকানুপুর ইউনিয়নের বালুয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।

উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ২টি স্থানে প্রতিবাদ পথসভা করেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজদের নেতৃত্বে মাঠে সরব হয়ে ওঠেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ পথসভা হয়।

অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত যাই করুক, জনগণের ম্যান্ডেট নিতে পারবে না। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে জনগণ কাজ করে যাচ্ছে। অবরোধকারীরা জনগণের যাতে ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য আমরা মাঠে আছি।

পৌরসভার পথসভায় বিএনপি-জামায়াতের দেওয়া ৪৮ ঘন্টার অবৈধ অবরোধ জনগণ মেনে নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুকিতুর রহমান রাফি।

বিএনপি জামায়াতের উদ্দেশ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আ.র.ম শরিফুল ইসলাম জর্জ বলেন, রাস্তায় আসুন, দিনের বেলায় আসুন, চোরাগোপ্তা হামলা করে জনগণের সম্পদ নষ্ট করে আপনাদের কোনো লাভ নেই।

বালুয়া হাট পথসভায় অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপির যদি কোনো দাবি-দাওয়া থাকে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তা উত্থাপন করতে পারত। কিন্তু, বিএনপি তা করেনি। বিএনপি আগেও তা করেননি, এখনও করছেন না। বিএনপি জনগণের সম্পদ ধ্বংস করছেন। বিএনপি অবৈধ অবরোধ দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি এসে দেখুক, জনগণ অবরোধ মানেনি। যদি বিএনপি আমাদের কোনো সম্পদ ধ্বংস করে, যদি কোনো শিশুর ভবিষ্যৎ নষ্ট করেন, বিএনপিকে প্রতিরোধ করার জন্যে আমরা জনগণই যথেষ্ট।

তিনি আরও বলেন, শান্তিকামী মানুষ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়া দিচ্ছে৷ তাদের কাজ হচ্ছে কেউ কোথাও অরাজকতা করলে, জনগণের সম্পদ ধ্বংস করতে চাইলে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা এবং সম্মিলিতভাবে ওদের রুখে দেওয়া। বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো অবৈধ ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি জনগণ প্রতিহত করবে।

এদিকে, সকালে প্রথমে পৌর শহরে অবস্থান কর্মসূচী পালন ও হাজার হাজার নেতাকর্মীদের মোটর সাইকেল বহর যোগে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের। পরে কাঁটাখালী বালুয়া হাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আ.র.ম শরিফুল ইসলাম জর্জের সভাপতিত্বে ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুকিতুর রহমান রাফির সভাপতিত্বে পৃথক ২টি প্রতিবাদ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কালিতলা, কোমরপুর, ফাঁসিতলা ও চাপড়ীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ি উপজেলায় প্রবেশ করে এবং পলাশবাড়ি পৌর শহরে অবস্থানরত উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগ দেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৩১ গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্ল্যাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার লিপন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী, পৌর মেয়র গোলাম সারোয়ার প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ পথসভায় স্থানীয় তাঁতীলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

অবরোধ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ পথসভায় অংশ নেন জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম প্রধান, তালুককানুপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক ও কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌকির হাসান রচি, গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মুরাদ, মহিমাগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি রেজওয়ানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, শালামারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মাস্টার, কোচাশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, রাখালবুরুজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রউফ শাহেন শাহ্, সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, কামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা, কাটাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম পান্না, শাখাহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহাজুল ইসলাম ভুট্টু, শাখাহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মণ্ডল।