প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৩:৩৪:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আলিফ আরিফা গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের মৌচাক এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানার মালিককে অপহরণ ও ইলেক্ট্রনিক শর্ট ও ড্রিল মেশিন দিয়ে বাম হাতের কনুই ছিদ্র করে অচেতন করে নগদ সাড়ে ২২ লাখ টাকা লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুরুতর আহত ওই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আবু তালহা এখন গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় তাদের পুরো পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এবিষয়ে ব্যবসায়ীর ছোট ভাই মোঃ ইউসুফ খান বাদি হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। আহত আবু তালহার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার পিকে বিশ্বাস রোডে।
শনিবার বিকেলে ওই হাসপাতালে গেলে ভুক্তভোগী আবু তালহা ও তার স্বজনরা জানান, তালহা গাজীপুরের স্থানীয় মৌচাক এলাকায় বসবাস করে ফেন্ডস নীটওয়্যার কারখানা পরিচালনা করতেন। গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একটি জমি কেনার বায়না বাবদ ২২ লাখ টাকা নিয়ে নিজস্ব গাড়িযোগে কালিয়াকৈর যাচ্ছিলেন। প্রাইভেটকারটি সফিপুর আনসার একাডেমীর কাছে পৌঁছালে স্থানীয় মেজবাহ উদ্দিন টুটুলের নেতৃত্বে তিনটি গাড়ি ও বেশ কিছু মোটর সাইকেলযোগে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত গাড়ির গতিরোধ করে। এসময় গাড়িতে হামলা ও গাড়ীর কাচ ভেঙ্গে তালহা এবং তার গাড়ি চালককে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তালহাকে টেনে হেঁচড়ে অন্য একটি গাড়িতে উঠিয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে টুটুলের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রাত ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলের ৭-৮ কিলোমিটার দূরে একটি ফাঁকা মাঠ থেকে তালহাকে গুরুতর আহতাবস্থায় পুলিশের একজন এসআই আমজাদ হোসেনের উপস্থিতে উদ্ধার করে স্বজনরা।
তালহা জানান, দুর্বৃত্তরা তাকে ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন দিয়ে তার হাতের কনুইয়ে পুশ করে এবং উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারপিট করে।
ভুক্তভোগী তালহা আরো জানান, তাদের যৌথ মালিকানাধিন বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি পোশাক কারখানা ডিস্কিট ফ্যাশনের
অংশীদারিত্ব ও এক কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে তসরুফ করা নিয়ে মেজবাহ উদ্দিন টুটুলের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল।
তালহার ভাই ও স্বজনরা বলেন, তারা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন তারা। গার্মেন্টসের ব্যবসা নিয়ে অভিযুক্ত মেজবাহ উদ্দিন টুটুলের সাথে বিরোধ নিয়ে এর আগে একাধিকবার বিচার শালিশ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মেজবাহ উদ্দিন টুটুলের মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তালহাকে অপহরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর তার ভাইয়ের জিম্মায় দেয়া হয়। টাকা পয়সা লুটপাট, গাড়ির কাচ ভাঙচুর এবং তাদের মারধর করে আহতের ঘটনাটি তিনি নিশ্চিত নয়। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।