ঠাকুরগাঁও দেবীপুরে স্বামী বাইরে থাকায় পরকীয়ায় মেতে উঠেন স্ত্রী

বিশ্বনাথ বর্মন ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে ভূল্লীতে নিজ শয়ন কক্ষে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে ধরা খেলেন গৃহবধু শাহানাজ। সোমবার (১৫ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের শ্যামাগাঁও বাবুলের মিল গ্রামে পরকীয়া প্রেমিক সাইদুলসহ নিজ শয়ন ঘর থেকে প্রেমিক যুগলকে আটক করে স্থানীয়রা।

এ অনৈতিক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।
আটককৃত প্রেমিক সদর উপজেলার ভূল্লী থানার বড়গাঁও ইউনিয়নের আরাজী সরকার গ্রামের তছমুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম।

জানা যায়, ভূল্লী থানার বালিয়া ইউনিয়নের বগুলাডাঙ্গী গ্রামের শাহারুল ইসলামের মেয়ে শাহানাজ এর সাথে পারিবারিক ভাবে সাড়ে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় দেবীপুর শ্যামাগাঁও গ্রামের খয়রুল আলমের ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে। শরিফুল ইসলাম আনসার ভিডিপিতে চাকরির সুবাদে ঢাকায় গাজীপুরে থাকেন। আর স্ত্রী শাহানাজ স্বামীর বাড়িতেই থাকেন। তাদের সংসারে একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তান আছে।
গত কয়েক মাস আগে এক সন্তানের জনক সাইদুল ইসলামের সাথে হঠাৎ দেখা হওয়ায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজমিস্ত্রী সাইদুলের সাথে। বিভিন্ন সময়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। পরে তাদের এ গোপন অনৈতিক পরকীয়ার সম্পর্কটি অক্ষুন্ন ছিল। ঘটনার দিন বাড়িতে অনৈতিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে আসলে পাশের ঘরে থাকা শাশুড়ী টের পেয়ে স্থানীয়রা পরকীয়া প্রেমিক যুগলকে আটক করেন।

এক সন্তানের জননী প্রেমিকা শাহানাজ জানান, সাইদুলের সাথে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো কিন্ত বিয়ে হয়নি। হঠাৎ তার সাথে দেখা হলে আমার ফোন নাম্বার নেয়। তখন থেকে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার স্বামী যদি আমাকে আর না গ্রহণ করে তাহলে আমি সাইদুলকে বিয়ে করবো।
এক সন্তানের জনক প্রেমিক সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার কিছুই করার নেই। যা হবে তাই করবো।
ইউপি সদস্য মাসুদ রানা জানান, তিনজনের পরিবারকে নিয়ে আমরা পারিবারিক ভাবে বসবো। এটি স্থানীয়ভাবে সমাধান করা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ১৫ নং দেবীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, স্বামী শরিফুল ইসলাম ঢাকায় থাকায় গৃহবধু শাহানাজ সাইদুল নামে এক ছেলের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তাদের গতকাল রাতে নিজ ঘরের মধ্যে স্থানীয়রা আটক করে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক ভাবে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ বলেন, একটি ভুলের জন্য আজকে তিনটি সংসার ধব্বংস তাই আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক অটুট রাখতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে অন্যথায় এই ধরনের জঘন্য অপরাধ বারবার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।