কাপ্তাইয়ে সেনাবাহিনী উদ্যোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় জোন কমান্ডার

হারাধন কর্মকার রাজস্থলী:

কাপ্তাই সেনা জোনে অনুষ্ঠিত হল কাপ্তাই এবং রাজস্থলী উপজেলার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা ৫ জুন সোমবার সকালে কাপ্তাই জোনে অনুষ্ঠিত হয়েছে । মতবিনিময় সভায় কাপ্তাই সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ নুর উল্লাহ জুয়েল, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এই সময় কাপ্তাই সেনা জোনের আওতাধীন কাপ্তাই এবং রাজস্থলী উপজেলার সকল কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি, পরিবহন মালিক সমিতি, সিএনজি সমিতি, ট্রাক, মিনিট্রাক ও চান্দের গাড়ি মালিক সমিতি, বাজার পরিচালনা কমিটি, মৎসজিবী সমিতি’র নেতা, প্রতিনিধি এবং স্থানীয় সকল গাছ ব্যবসায়ীগন মিলে আনুমানিক ১২০-১৩০ জন উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় কাপ্তাই সেনা জোনের জোন কমান্ডার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে কুশলাদী বিনিময়ের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এই সময় কাপ্তাই এবং রাজস্থলী উপজেলা হতে আগত ব্যবসায়ীগন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা ও চাঁদাবাজি নিয়ে মতবিনিয় করেন। জোন কমান্ডার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কাপ্তাই জোনের দায়িত্বপূর্ন এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিসহ যেকোন ধরনের অপতৎপরতা রোধে কাপ্তাই সেনা জোন সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠনগুলো চাঁদাবাজি করে সংগ্রহকৃত অর্থ দিয়ে সমরাস্ত্র ক্রয় করে দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ি ব্যক্তিগত লাভের আসায় গোপনে সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে চাঁদা দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডে সহায়তা করছে। জোন কমান্ডার তাদেরকে হুশিয়ার করে বলেন, যে সকল ব্যবসায়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিয়ে সহায়তা করে থাকে মদদ দাতা হিসেবে তারাও দেশের শত্রু । যদি কোন ব্যবসায়ী অথবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদা দেওয়ার ব্যপারে তথ্য প্রমান পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আঞ্চলিক সশস্ত্র গ্রুপগুলোর চাঁদাবাজি রোধে স্থানীয়ভাবে সমন্বিত প্রতিরোধ গড়ে তুলার পাশাপাশি সশস্ত্র চাঁদাবাজদের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পে পৌছানোর ব্যপারে অনুরোধ করেন।
জোন কমান্ডার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কিছু স্বার্থান্বেষি মহল পার্বত্য চট্টগ্রামের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য গোপনে চেষ্টা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী দেশের স্বার্ভভৌমত্বের পাশাপাশি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন রক্ষায় বদ্ধ পরিকর।