৪১ তম বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় সুপারিশ প্রাপ্ত হলেন ইমতিয়াজ উদ্দিন মিল্টন

আনিছুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার

৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।  বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পিএসসির ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করেছেন। ৪১তম বিসিএস ২৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এতে পরিবার পরিকল্পনায় সুনামের সহিত সুপারিশ প্রাপ্ত হলেন চট্টগ্রাম বাঁশখালী সাধনপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়ার কৃতি সন্তান ইমতিয়াজ উদ্দিন” মিল্টন’হাতে কড়ি বিদ্যা শিক্ষার সূচনা করেন। বাড়ির পার্শ্ব ১০নং দক্ষিণ সাধনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হতে। কৃত্বিতের সাথে বানীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সরকারি কর্মাস কলেজ হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি, বিবিএ,এমবিএ শেষে সোনালী ব্যাংক পিএলসি আনোয়ারা শাখায় কর্মরত আছেন। পরিবার পরিকল্পনায় ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলতার সাথে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। এর আগে, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন ৪ লাখের বেশি অংশগ্রহণকারী ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ হন। এরপর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরের ১০ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ১৩ হাজার জন উত্তীর্ণ হন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৬ জুন শেষ হয় ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ জন্য সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে ইমতিয়াজ উদ্দিন মিল্টন ও অন্যতম।

তিনি বাঁশখালী গুনাগরী খাঁসমহলের সুনামধন্য, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব মোক্তার আহমদ সওদাগরের তৃতীয় পুত্র, শিশু শৈশব কৈশর বেঁড়ে উঠা একজন ব্যাবসায়ীর পরিবারে সেই সুবাদে নিত্যন্তই বিনোদনমহ কাজ করলেও পড়ালেখায় তাকে কখনই প্রভাবিত করতে পারেনি। খেলাধুলা যাই করুক তবে পড়া লেখায় ছিল তার দৈনিন্দ্য রুটিনের একটি অংশ। ভাই বোন চারজনের মধ্যে তৃতীয় হওয়া সবার প্রিয়। বড় বোন কানিজ ফারহানা চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ ইন্সট্রাক্টর, দ্বিতীয় বড় ভাই ইফতেখার সাইমুন জিসান (স্নাতকোত্তর )ব্যবসায়ী,ছোট বোন ইশরাত জাহান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন।

ইমতিয়াজ উদ্দিন শিশু কৈশোর কেঁটেছে নিজ পল্লী গ্রামের বাড়ী আর দক্ষিণ সাধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আসা-যাওয়া এবং খেলাধুলায়।

প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন বানীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।বিদ্যালয়টি পাহাড়ের চূড়া ও টেইলার অবস্থানে অবস্থিত হওয়ায় বিদ্যালয়টিতে পড়তে যেমন এক ধরনের আনন্দ প্রবাহিত হত, তেমনি স্কুলের চারপাশে ফলজ ও বনজ বৃক্ষাধি শিক্ষার্জন ও বিনোদনে অনুপ্রেরণা যোগাত।

এই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি”তে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ইন্টারমিডিয়েট এ ভর্তি হন চট্রগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ এ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি, বিবিএ, এমবিএ শেষ করে নিজেকে মনোনিবেশ করান ব্যাংকিং সেক্টরে সোনালী ব্যাংক পিএলসি আনোয়ারা শাখার কর্মরত রয়েছেন। পরিবার পরিকল্পনায় তিনি তৃতীয় বারের মত ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলতার সাথে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি আরো দু’বার চেষ্টা করেছিলেন। তার এমন কৃতিত্বের সংবাদ ছঁড়িয়ে পড়লে নিজ এলাকার পাড়া-প্রতিবেশী,সহ পার্টি,শিক্ষক,শুভান্মদায়ি আত্মীয়স্বজন বন্ধু মহলে শুরু হয় আনন্দের বন্যা।

বিসিএস এর সুপারিশ প্রাপ্ত ইমতিয়াজ উদ্দিন মিলন্টন এর অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এক কথায় আলহামদুলিল্লাহ ।বিসিএস অংশ গ্রহনে পিছনে কার ভূমিকা বেশি ছিল পিতা, মাতা, ভাই বোন শিক্ষক মন্ডলী ওনাদের দূরদর্শী সাহসিকতা ও দিকনির্দেশক উপদেশ গুলো পরীক্ষায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

এ বিষয়ে গুনাগরী খাসমহল এর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী তার পিতা আলহাজ্ব মোক্তার আহমদ সওদাগর বলেন ছেলের বিসিএস প্রাপ্তিতে উনি সত্যিই আনন্দিত একই আনন্দ তিনি পাড়া-প্রতিবেশী সহ সকলের সাথে ভাগাভাগি করেন।

জনসংখ্যাবহুল দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ভূমিকা ও কাজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার পরিকল্পনার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশ সরকার আলাদাভাবে পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের অস্তিত্ব রেখেছে। এক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন এই ক্যাডারেরা তাদের মধ্যে নতুন অধ্যায়ে প্রদার্পন করলো ইমতিয়াজ উদ্দিন মিল্টন সে সকলের আন্তরিকতা ভালবাসা দোয়া কামনা করেছেন।