• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি:তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে বিচার না হয়ে খালাস!

      প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৭:৫১:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাসেল আহমদ,(গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি):

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি ও মানহানিকর পোস্ট করে এক দুষ্কৃতকারী।এ নিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের লামা চন্দরপুর গ্রামের হাজী ইসলাম উদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল হক মুজিব বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুস সুবহানের (কটই) ছেলে ফরিদ উদ্দিন ওরফে আবু মোঃ ফরিদ কে আসামী করে  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,(যার মামলা নং-৩৬/২০১৮)। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিলেট সাইবার ট্রাইবুন্যলে বিচারাধীন থাকে।অতঃপর মামলার কোন বিচার না হয়ে দীর্ঘ ৫ বছর বছর পরে চলতি বছরের মার্চ মাসে সিলেট সাইবার ট্রাইবুন্যলের বিচারক আবুল কাশেম মামলাটি খালাস প্রদান করেন।

    মামলাসূত্রে জানা যায়,মামলার আসামী ফরিদ উদ্দিন এলাকায় দাগী সন্ত্রাসী ও চোরাকারবারী চক্রের সদস্য। বিগত ২৩আগস্ট,২০১৬ইং সকাল ৫:৪৩ মিনিট থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারী,২০১৮ইং সকাল ৯ঘটিকা পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে আসামী নিজের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করছে এবং বিভিন্ন ভাবে অপ্রপ্রচার করে লোকজনকে তা দেখাচ্ছিল।আসামী প্রধানমন্ত্রী ১৬ টি ছবি ফেসবুকে আপলোড করে। উক্ত ১৬টি ছবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যঙ্গ করে বিকৃত রুপ ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রচার করেছে।এ তথ্য পেয়ে মামলার বাদী এমদাদুল হক মুজিব নিজের ফেসবুক আইডিতে ডুকে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ছবিগুলো স্কিনশট ও লিংক কপি করে সংরক্ষণ করেন।বাদী ব্যাক্তিগতভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের কর্মী। এর সুবাদে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মানহানি সইতে না পেরে গত ১২ফেব্রুয়ারী,২০১৮ইং (সোমবার) সকালে বাদী বিবাদীর নিকট প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ছবি ও মানহানিকর তথ্য  প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে আসামী তাকে প্রানে হত্যার হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে  বাদী স্থানীয় গন্যমান্য লোকদের অবগত করে থানায় এসে মামলা দায়ের করতে চাইলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহন করেনি।পরে গত ১৫ফেব্রুয়ারী,২০২৩ইং(বৃহস্পতিবার) সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে একখানা নালিশী দরখাস্ত দাখিল করেন।নালিশী দরখাস্তের ভিত্তিতে উক্ত আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গোলাপগঞ্জ মডেল থানাকে মামলাটি এফ.আই.আর করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১২ই মার্চ,২০১৮ ইং গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি তথ্য  প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় গ্রহন করা হয়।গোলাপগঞ্জ মডেল থানা মামলা নিয়ে সাইবার ট্রাইবুন্যলের আদেশ অনুযায়ী ঢাকা সাইবার ফরেনসিকে (সিআইডি) ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য প্রেরন করে। দীর্ঘ ১০ মাস পরে মানহানিকর পোস্টগুলো যাচাইকরণ শেষে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  সাইবার ফরেনসিক (সিআইডি) রিপোর্ট পাঠায়।এরপর গত ২০জানুয়ারী,২০১৯ইং গোলাপগঞ্জ মডেল থানা সাইবার ফরেনসিকের সত্যতা নিশ্চিতের রিপোর্টসহ চার্জশীট করে সাইবার ট্রাইবুন্যল আদালতে দাখিল করেন। আদালত ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা আমলে নেয়।এরপর মামলাটি চলতে থাকে,আসামী পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়।আদালতের বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আসামী আবু মোহাম্মদ ফরিদ কে কখনো জেল হাজতে প্রেরন করা হয়নি।সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়েও কখনো সাজা ভোগ করতে হয়নি।তারপর দীর্ঘ ৫বছর পর গত ২৭শে মার্চ,২০২৩ইং সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ আবুল কাশেম অত্র মামলার দায় হতে আসামী ফরিদ উদ্দিন ওরফে আবু মোঃ ফরিদকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

    মামলার বাদী এমদাদুল হক মুজিবের পিতা বুধবারী বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ইসলাম উদ্দিন বলেন, আমরা জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান,আমরা রক্তে-মাংসে আওয়ামী লীগ।যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পারি এই দুষ্কৃতকারী ফরিদ উদ্দিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মানহানিকর তথ্য প্রচার করে।তাৎক্ষণিক আমার নির্দেশে আমার ছেলে এমদাদুল হক মুজিব অনেক বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ ১০ মাস পরে মানহানিকর পোস্টগুলো ও পর্যাপ্ত প্রমাণ  যাচাইকরণ শেষে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  সাইবার ফরেনসিক (সিআইডি) রিপোর্ট পাঠায়।গোলাপগঞ্জ মডেল থানা সাইবার ফরেনসিকের সত্যতা নিশ্চিতের রিপোর্টসহ চার্জশীট করে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে দাখিল করেন।আদালত ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা আমলে নেয়।আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমরা অত্যন্ত গুরুত্বসহ পরিশ্রম করে আদালতে আসা যাওয়া করি।আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মামলার প্রতি তারিখে নিয়মিত টাকা দিয়েছি,তারা যখন টাকা চেয়েছেন দিয়েছি।মাসের পর মাস বছরের পর বছর অপেক্ষা করি কখন আসামীর সাজা হবে?আসামীর অপরাধের শাস্তির অপেক্ষায় থাকি।কিন্তু অপরাধী কোন সাজা হয়নি।দীর্ঘ ৫ বছর পরে আসামিকে কোন সাজা না দিয়ে আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।আমি মনে করি আদালতের অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের অবহেলা ও আসামিকে সমর্থনের ফলে এ মামলা খালাস হয়।শেষ পর্যন্ত মামলা খালাস হওয়ার প্রায় ৫ মাস পরে যখন আদালত থেকে মামলার সম্পূর্ণ  কাগজ উত্তোলনের চেষ্টা করি।তখন পিপি ও বিচারক সহকারীর অবহেলা ও কারসাজির ফলে  আমি সকল কাগজ পাইনি।

    তিনি আরও বলেন,আমিও এর হাল ছাড়বো না। আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানহানি কখনোই মেনে নিবো না।আমার নেত্রীকে নিয়ে কটুক্তিকারীর সাজার জীবন বিষর্জন দিতে হলে দিবো।আমি এই মামলা চলমান থাকার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবো।পুনরায় মামলা চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে এবং প্রশাসন এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করলে অবশ্যই এই অপরাধীর শাস্তি হবে। আমি এর বিচার চাই, আমি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু করবো।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান,আমি এই মামলার পুরো তদন্তে ছিলাম না, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বদলি জনিত সমস্যার কারণে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি আমার সঠিক এবং নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষ্য আদালতে দাখিল করি।আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না এটা মহামান্য আদালতের বিষয়।

    এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা) আবুল কাশেমের বদলি হওয়ার কারণে তিনির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    আরও খবর

    Sponsered content