• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • উদ্ভাবন

    রেললাইন উদ্বোধন ১২ নভেম্বর, কক্সবাজারবাসীর বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে

      প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২৩ , ৬:৩৫:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নবনির্মিত রেললাইনের উদ্বোধন হবে আগামী ১২ নভেম্বর। ফলে বহুল কাঙ্খিত কক্সবাজারে ট্রেন যাত্রা করবে ঐদিন। যার ফলে কক্সবাজার বাসীর বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছেন।
    এমনটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সুবক্তাগিন।
    তিনি বলেন, নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ আগামী ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ১২ নভেম্বর সময় দিয়েছেন। কক্সবাজারের রেললাইন খুলে দেওয়া হলে কক্সবাজার সারা দেশের সঙ্গেই যুক্ত হবে।
    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ চলছে, যা উদ্বোধনের আগেই শেষ হয়ে যাবে। আর ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন এই পথে ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে। রোববারও সারাদিন কক্সবাজারে নির্মিত আইকনিক রেলস্টেশন এবং ৫২ কিলোমিটার রেলপথ পরিদর্শন করেছি। আশা করি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন কক্সবাজার পৌছাবে।
    সূত্র মতে, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
    প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয় ৯টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু। ১৪৯টি বক্স কালভার্ট ও ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। লেভেল ক্রসিং রয়েছে ৯৬টি।
    প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার।
    রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মতে, পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের পটিয়া স্টেশনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে একটি ট্রেন। যেটিতে রয়েছে ৬টি বগি ও ২ হাজার ২০০ সিরিজের একটি ইঞ্জিন। কোরিয়া থেকে আনা এসব বগির একেকটিতে ৬০ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। বর্তমানে নগরের ষোলশহর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইনও পুরোদমে সংস্কার করা হচ্ছে।

    আরও খবর

    Sponsered content